খালি পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা
খালি পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা অসীম, খালি পেটে আদা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য
অত্যন্ত উপকারী হতে পারে। আদায় আছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি
গুণ, যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং হজম শক্তি উন্নত করে।
এছাড়া, এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে ও ওজন কমাতে সহায়ক। প্রতিদিন সকালে
খালি পেটে আদা খেলে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর হতে পারে এবং সার্বিক স্বাস্থ্য
ভালো থাকে।
পোস্ট সূচীপত্র
- সকাল বেলা আদা খেলে কি হয়
- সকালে খালি পেটে আদা চা খেলে কি হয়
- আদা চা কখন খাওয়া ভালো
- পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা
- রাতে আদা খেলে কি হয়
গরম পানির সাথে আদা খাওয়ার উপকারিতা
কাঁচা আদা খাওয়ার উপকারিতা
ভরা পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা
আদা খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
লেখক এর মন্তব্য
সকাল বেলা আদা খেলে কি হয়
সকাল বেলা আদা খেলে কি হয় এই প্রশ্নটি অনেকেই মনে মনে পোষণ করে থাকেন, কারণ আদার
স্বাস্থ্যের উপকারিতা নিয়ে বেশ কিছু আলোচনা রয়েছে। সকাল বেলা আদা খেলে কি হয়, তা
নিয়ে বিস্তারিত জানতে হলে কিছু মূল দিক লক্ষ্য করা জরুরি।
- সকাল বেলা আদা খেলে কি হয় তা জানলে জানা যাবে যে আদা শরীরের জন্য একটি প্রাকৃতিক টনিক হিসেবে কাজ করে। আদায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাবলি যা শরীরকে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করতে সহায়তা করে। এটি বিশেষ করে শীতকালে সর্দি, কাশির সমস্যা কমাতে সহায়ক।
- আদার আরও একটি বড় উপকারিতা হচ্ছে হজমে সহায়তা। সকাল বেলা আদা খেলে কি হয় সেই প্রশ্নের উত্তরে বলা যেতে পারে যে আদা খাবার হজমে সাহায্য করে এবং গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলির থেকে মুক্তি দেয়। এটি পেটের ফোলাভাব কমাতে এবং অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।
- আদার মধ্যে থাকা জিঞ্জেরল এবং শোগোল নামক উপাদানগুলি শরীরের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে। সকাল বেলা আদা খেলে কি হয় এই প্রশ্নের উত্তরে বলা যেতে পারে যে এটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়া এটি শারীরিক শক্তি বাড়াতে এবং ক্লান্তি কমাতে সহায়তা করে।
- আদা ব্যথা কমানোর জন্যও পরিচিত। সকাল বেলা আদা খেলে কি হয় এই বিষয়টি নিয়ে গবেষণায় জানা গেছে যে আদা আর্থ্রাইটিস এবং অন্যান্য প্রকারের ব্যথা কমাতে সহায়ক। এর অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি প্রভাব ব্যথার অনুভূতি হ্রাস করতে সাহায্য করে।
- সকাল বেলা আদা খেলে কি হয় এই প্রশ্নের আরো একটি উত্তর হল মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি। আদা নিয়মিত খেলে মানসিক উদ্বেগ ও চাপ কমাতে সহায়তা করে এবং এটি শরীরের মানসিক অবস্থাকে সঠিক রাখতে সাহায্য করে।
সকাল বেলা আদা খেলে ওজন কমাতেও সহায়তা করে। আদা মেটাবোলিজম বাড়িয়ে শরীরে জমে
থাকা অতিরিক্ত চর্বি পুড়িয়ে ফেলতে সাহায্য করে। তবে, আদা খাওয়ার আগে কয়েকটি
বিষয় মাথায় রাখা উচিত। অতিরিক্ত আদা খেলে তা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা বাড়িয়ে
দিতে পারে, এছাড়াও যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা আছে তাদের জন্য অতিরিক্ত আদা
খাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। তাই, কোনো অসুস্থতা থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ
অনুযায়ী আদা খাওয়া উচিত। সকাল বেলা আদা খাওয়া শরীরের জন্য বেশ কয়েকটি উপকারী
দিক নিয়ে আসে, তবে সংযমিতভাবে এবং উপযুক্ত পরামর্শ নিয়ে এটি গ্রহণ করা সবসময়ই
শ্রেয়।
সকালে খালি পেটে আদা চা খেলে কি হয়
সকালে খালি পেটে আদা চা খাওয়া অনেকের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হতে পারে।
আদা হলো প্রাচীনকালে থেকে ব্যবহৃত একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা বিভিন্ন ধরনের
স্বাস্থ্য সমস্যার সমাধানে ব্যবহৃত হয়। আদার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি,
অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী, যা শরীরের বিভিন্ন
সমস্যার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
- আদা চা হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করতে সাহায্য করে। আদা চায়ের মধ্যে থাকা উপাদানগুলো পেটের গ্যাস ও অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে পারে, যা পেট ফাঁপার মতো সমস্যাকে প্রতিরোধ করে। এটি পেটের অস্বস্তি দূর করে এবং খিদে বাড়ায়।
- আদা চা ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আদার মধ্যে রয়েছে একটি প্রাকৃতিক উপাদান যা বিপাক প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করে, ফলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। খালি পেটে আদা চা খেলে শরীরের চর্বি ভাঙার প্রক্রিয়া দ্রুত হয়, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- আদা চা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। এটি রক্তনালীগুলোকে প্রসারিত করে এবং রক্ত চলাচল সহজ করে, ফলে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। এছাড়া, আদা চা রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
- আদা চা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল উপাদানগুলো শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, যা সাধারণ সর্দি-কাশি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, এবং অন্যান্য সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে।
তবে, কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন। খালি পেটে আদা চা খেলে কিছু লোকের
ক্ষেত্রে অম্বল বা বুক জ্বালাপোড়া হতে পারে, বিশেষ করে যারা গ্যাস্ট্রিক
সমস্যায় ভুগছেন। এছাড়া, অতিরিক্ত আদা চা খেলে বমি বা মাথা ঘোরা হতে পারে।
গর্ভবতী নারীদের জন্য আদা চা খাওয়ার ছু উপাদান গর্ভাবস্থায় সমস্যার সৃষ্টি করতে
পারে। আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত, কারণ আদার কিসকালের শুরুতে আদা চা
খাওয়া একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হতে পারে, তবে এটি সবার জন্য উপযুক্ত নয়। সঠিক
পরিমাণে এবং প্রয়োজন অনুসারে আদা চা পান করলে এর উপকারিতা পাওয়া সম্ভব।
আদা চা কখন খাওয়া ভালো
আদা চা (Ginger Tea) একটি জনপ্রিয় পানীয় যা আমাদের দৈনন্দিন জীবনকে বিভিন্ন
ভাবে উপকারে আসে। এটি বিশেষভাবে চা প্রেমীদের মাঝে খুবই জনপ্রিয় এবং এটি শুধু
স্বাদে নয়, বরং স্বাস্থ্য উপকারিতাতেও অতুলনীয়। এখন, আসুন দেখি আদা চা কখন
খাওয়া ভালো এবং এর সুবিধাগুলি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা যাক।
- প্রাতঃকালের চাঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে আদা চা পান করার অভ্যাসটি শরীরকে তাজা করে তোলে এবং প্রাতঃকালীন স্বাস্থ্যের জন্য সহায়ক। এটি হজম প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে সাহায্য করে এবং দিনের শুরুতে আপনাকে সতেজ করে তোলে।
- খাবারের পরঃ খাবারের পরে আদা চা খাওয়া একটি সুস্থ অভ্যাস। এটি হজমে সাহায্য করে এবং অতিরিক্ত গ্যাস বা bloating কমায়। আদা চায়ে থাকা জিঞ্জেরল উপাদানগুলি খাদ্য হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে।
- শীতকালীন ঋতুতেঃ শীতকালে আদা চা বিশেষভাবে উপকারি। এটি শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ঠান্ডা ও কাশি প্রতিরোধ করতে সহায়ক।
- মাথাব্যথা বা মাইগ্রেন ঃ যদি আপনি মাথাব্যথায় ভুগছেন, তবে আদা চা একটি ভালো বিকল্প হতে পারে। আদার অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণাবলী মাথাব্যথা কমাতে সাহায্য করে।
- মানসিক চাপ কমানোঃ আদা চা পানের মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানোর একটি ভালো উপায়। এটি শরীরকে শান্ত করতে সাহায্য করে এবং মনকে স্বস্তিতে রাখে।
- শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোঃ আদা চা নিয়মিত পান করলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এটি সাধারণ ঠান্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধে সহায়ক।
- ওজন কমানোঃ আদা চা ওজন কমানোর প্রক্রিয়ায় সহায়ক হতে পারে। এটি মেটাবলিজম বাড়ায় এবং শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সাহায্য করে।
- অতিরিক্ত চা বা ক্যাফেইন এর অভাবঃ ক্যাফেইন মুক্ত এক বিকল্প হিসেবে আদা চা ভালো। এটি রাতে ঘুমের জন্য বিরক্তিকর না হয়ে আরামদায়ক ঘুম নিশ্চিত করতে সাহায্য করে।
- হজমে সাহায্যঃ দীর্ঘ সময় ধরে খাবার হজম করতে সমস্যা হলে, আদা চা খাওয়া উপকারী হতে পারে। এটি পেটের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে।
- মুখের স্বাস্থ্যের উন্নতিঃ আদার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাবলী মুখের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সাহায্য করে এবং মুখের ব্যাকটেরিয়া কমায়। আদা চা যখন পান করবেন, তা আপনার শারীরিক ও মানসিক অবস্থার উপর নির্ভর করে। সাধারণভাবে সকালে বা খাবারের পরে আদা চা পান করা স্বাস্থ্যকর এবং উপকারী হতে পারে। কিন্তু, যদি আপনার কোনো বিশেষ স্বাস্থ্য সমস্যা থাকে, তবে একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা
আদা, যা বিভিন্ন প্রকারের স্বাস্থ্য সমস্যার প্রতিকার হিসেবে পরিচিত, পুরুষদের
জন্য বিশেষভাবে উপকারি হতে পারে। আদার মধ্যে উপস্থিত বিভিন্ন পুষ্টিগুণ এবং
সক্রিয় উপাদানগুলো পুরুষদের স্বাস্থ্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
পুরুষদের জন্য আদার উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানানো হলো:
- আদা পুরুষদের পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। খালি পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা হল এটি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে এবং গ্যাসের সমস্যা কমাতে সহায়ক। আদার মধ্যে থাকা জিনজেরোলিন এবং শোগলিন উপাদানগুলি পাচনতন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ায় এবং গ্যাস্ট্রিক সমস্যা হ্রাস করে।
- আদার অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি গুণাগুণ পুরুষদের মাংসপেশির প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এক্সারসাইজের পর পেশির ব্যথা এবং শক্তি কমানোর জন্য আদা খুবই কার্যকর। খালি পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা এখানে প্রতিফলিত হয়, কারণ এটি দেহের প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে এবং ব্যথা উপশম করে।
- আদা পুরুষদের যৌন স্বাস্থ্যেও প্রভাবিত হতে পারে। এটি সেক্সুয়াল ডিসফাংশন এবং দুর্বলতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। খালি পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা স্বাস্থ্যের উন্নতির মাধ্যমে সুস্থ যৌন জীবন বজায় রাখতে সহায়ক। আদার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণাগুণ যৌন শক্তি এবং সহনশীলতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।
- আদা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। উচ্চ রক্তচাপ পুরুষদের বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যার একটি প্রধান কারণ হতে পারে, এবং আদার নিয়মিত ব্যবহার এটি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক। আদার রক্ত সঞ্চালন এবং হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সাহায্য করে।
- আদার রিস্ক ফ্যাক্টর গুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়ক। পুরুষদের মাঝে অতিরিক্ত কোলোস্টেরল ও টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেশি থাকে। আদার মধ্যে উপস্থিত প্রাকৃতিক উপাদানগুলি রক্তে গ্লুকোজের স্তর নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং কোলোস্টেরল কমাতে সহায়ক।
অতএব, আদা পুরুষদের জন্য একটি স্বাস্থ্যকর অভ্যাস হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। খালি
পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা বিভিন্নভাবে সুস্থতার উন্নতি ঘটায়, এবং নিয়মিত
ব্যবহার তাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
রাতে আদা খেলে কি হয়
রাতে আদা খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করলে প্রথমে জানা উচিত আদার প্রাকৃতিক গুণাগুণ। আদা একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট যা আমাদের শরীরকে নানা রকম উপকারে সাহায্য করে। রাতে আদা খাওয়ার সময়ে এটি শরীরের উপর কী প্রভাব ফেলে এবং কেন এটি beneficial হতে পারে, তা আলোচনা করা যেতে পারে।- রাতে খালি পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে বলা যেতে পারে যে এটি হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। আদা হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে এবং রাতে খালি পেটে আদা খাওয়া শরীরের হজম প্রক্রিয়াকে বাড়িয়ে তোলে। আদার অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদানগুলি গ্যাস্ট্রিক সিস্টেমকে শান্ত করতে সাহায্য করে এবং খাবারের কার্যকারিতা বাড়িয়ে তোলে।
- আদা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। রাতে খালি পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায়। আদার ভিটামিন সি এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদানগুলি শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে উন্নত করতে সাহায্য করে, যা রাতে আদা খাওয়ার সময়ে বিশেষভাবে কার্যকর হতে পারে।
- আদা রাতে ঘুমের মান উন্নত করতে সহায়ক হতে পারে। রাতে খালি পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা হিসেবে এটি শারীরিক এবং মানসিক সুস্থতার জন্য উপকারি। আদার উপাদানগুলি শরীরের টেনশন কমাতে সাহায্য করে এবং এটি একটি শান্তিপূর্ণ ঘুমের জন্য সহায়ক হতে পারে।
এক কথায়, রাতে খালি পেটে আদা খাওয়ার উপকারিতা অসাধারণ। এটি হজমের উন্নতি, রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতার বৃদ্ধি, এবং ঘুমের মান উন্নত করতে সাহায্য করে। আদার প্রতিটি
উপকারিতা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে এবং শরীরকে সুস্থ
রাখতে সাহায্য করে।
গরম পানির সাথে আদা খাওয়ার উপকারিতা
গরম পানির সাথে আদা খাওয়া একটি প্রাচীন প্রথা যা অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান
করে। আদা, যা বৈজ্ঞানিক নাম জিংবার অফিসিনালে পরিচিত, একটি প্রাকৃতিক
এন্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ মসলা। গরম পানির সাথে আদা
খাওয়ার ফলে বিভিন্ন ধরনের উপকারিতা পাওয়া যায়ঃ
- হজম শক্তি বৃদ্ধিঃ আদা হজমে সাহায্য করে এবং গরম পানির সাথে এর মিশ্রণ হজম প্রক্রিয়াকে দ্রুত এবং কার্যকরীভাবে পরিচালনা করে। এটি পেটের অস্বস্তি, গ্যাস, এবং অ্যাসিডিটি কমাতে সহায়তা করে।
- ইমিউন সিস্টেম শক্তিশালীকরণঃ আদাতে থাকা জিঞ্জারলিন ও শোগলিক নামক উপাদান শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। গরম পানির সাথে আদা খাওয়ার ফলে ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা সমাধানঃ আদা কফ এবং সর্দি-জ্বরের উপশমে সহায়তা করে। গরম পানির সাথে আদা খাওয়ার ফলে শ্বাসনালীতে জমে থাকা শ্লেষ্মা পরিষ্কার হয়ে যায় এবং শ্বাস নেওয়া সহজ হয়।
- ব্যথা কমানোঃ আদা প্রাকৃতিকভাবে এন্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রাখে যা মাংসপেশী ও জয়েন্টের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। গরম পানির সাথে আদা খাওয়া রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যায় উপকারি হতে পারে।
- রক্ত সঞ্চালন উন্নত করাঃ আদার কার্যকরী উপাদান রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। গরম পানির সাথে আদা খাওয়ার ফলে রক্তনালীগুলির প্রসারণ ঘটে যা রক্ত সঞ্চালনকে সুগম করে।
- মেটাবলিজম বৃদ্ধিঃ আদা শরীরের মেটাবলিজম বাড়িয়ে দেয়, যা ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে। গরম পানির সাথে আদা খাওয়ার ফলে শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে।
- শরীরের ডিটক্সিফিকেশনঃ আদা প্রাকৃতিক ডিটক্সিফায়ার হিসেবে কাজ করে, যা শরীর থেকে টক্সিন অপসারণে সহায়তা করে। গরম পানির সাথে আদা খাওয়ার ফলে শরীরের অভ্যন্তরীণ পরিচ্ছন্নতা বজায় থাকে।
- মানসিক চাপ কমানোঃ আদার স্নিগ্ধ এবং আরামদায়ক প্রভাব মানসিক চাপ ও উদ্বেগ কমাতে সহায়তা করে। গরম পানির সাথে আদা খাওয়ার ফলে মানসিক প্রশান্তি অনুভূত হয়।
- ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিঃ আদার অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। গরম পানির সাথে আদা খাওয়ার ফলে ত্বক তাজা ও উজ্জ্বল থাকে।
- মাইগ্রেন কমানোঃ আদার বিশ্রামদায়ক গুণ মাইগ্রেনের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে। গরম পানির সাথে আদা খাওয়ার ফলে মাথাব্যথা এবং মাইগ্রেনের উপসর্গ কমে।
সার্বিকভাবে, গরম পানির সাথে আদা খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য একটি সুষম এবং প্রাকৃতিক
উপায় হতে পারে। এটি প্রাচীনকাল থেকে স্বাস্থ্যকর জীবনধারার অংশ হিসেবে ব্যবহৃত
হয়ে আসছে। তবে, যেকোনো নতুন স্বাস্থ্য পদ্ধতি শুরু করার আগে একজন স্বাস্থ্য
বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
রবিন ডাইরি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url