ঘরোয়া ভাবে মুখের ব্রণ ও কালো দাগ ভালো করার সহজ উপায়
ঘরোয়া ভাবে মুখের ব্রণ ও কালো দাগ ভালো করার সহজ উপায়
মুখের ব্রণ ও কালো দাগ আমাদের অনেকেরই একটি সাধারণ সমস্যা। এটি সৌন্দর্যের প্রতি আমাদের আস্থা কমিয়ে দেয় এবং মানসিক স্বস্তির অভাব সৃষ্টি করে। তবে ঘরোয়া কিছু সহজ উপায় ব্যবহার করে আমরা এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারি। এই আর্টিকেলে, আমরা আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ঘরোয়া ভাবে মুখের ব্রণ ও কালো দাগ ভালো করার সহজ উপায় সম্পর্কে কিছু কার্যকরী টিপস।
1. মধু ও দারুচিনি
মধু এবং দারুচিনির মিশ্রণ একটি চমৎকার প্রাকৃতিক উপাদান যা ব্রণ ও কালো দাগ ভালো করতে সাহায্য করে। মধু ত্বকের জন্য একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক এবং দারুচিনি অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন।
উপাদান
1.টেবিল চামচ মধু
2.চা চামচ দারুচিনি গুঁড়া
পদ্ধতি
1.মধু এবং দারুচিনি মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
2.পেস্টটি মুখে ব্রণের উপরে এবং কালো দাগের স্থানে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে দিন।
3.কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
2.অ্যালোভেরা জেল
অ্যালোভেরা একটি প্রাকৃতিক উদ্ভিদ যা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বকের ইনফ্লেমেশন কমিয়ে দেয় এবং ব্রণ ও কালো দাগ হ্রাস করতে সহায়ক।
পদ্ধতি
1.একটি তাজা অ্যালোভেরা পাতা কেটে জেল বের করে নিন।
2.জেলটি ব্রণের উপর এবং কালো দাগের উপর লাগিয়ে রাতে রেখে দিন।
3.পরদিন সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
3. নিম পাতা
নিম পাতা অ্যান্টিসেপ্টিক এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন যা ব্রণ এবং কালো দাগ ভালো করতে সহায়ক।
উপাদান
1.কয়েকটি তাজা নিম পাতা
2.পানি
পদ্ধতি
1.নিম পাতাগুলো পানি দিয়ে সেদ্ধ করে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
2. পেস্টটি মুখের ব্রণ এবং কালো দাগের উপর লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন।
3. ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
4. হলুদ ও দুধ
হলুদ অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন যা ব্রণ এবং কালো দাগ হ্রাস করতে সাহায্য করে।
উপাদান
1. চা চামচ হলুদ গুঁড়া
2. টেবিল চামচ দুধ
পদ্ধতি
1. হলুদ গুঁড়া এবং দুধ মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
2. পেস্টটি মুখের ব্রণ এবং কালো দাগের উপর লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন।
3. ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
5. টি ট্রি অয়েল
টি ট্রি অয়েল অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন যা ব্রণ এবং কালো দাগ হ্রাস করতে সহায়ক।
পদ্ধতি
1. একটি কটন বল নিয়ে টি ট্রি অয়েল লাগিয়ে মুখের ব্রণ এবং কালো দাগের উপর লাগিয়ে দিন।
2. রাতে রেখে পরদিন সকালে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
6. লেবুর রস
লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট যা কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে।
পদ্ধতি
1. লেবুর রস একটি কটন বল দিয়ে ব্রণের উপর এবং কালো দাগের উপর লাগিয়ে দিন।
2. ১০-১৫ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
7. টমেটোর রস
টমেটোর রস ত্বকের পিএইচ ব্যালান্স রক্ষা করে এবং কালো দাগ হ্রাস করতে সহায়ক।
পদ্ধতি
1. টমেটোর রস একটি কটন বল দিয়ে ব্রণের উপর এবং কালো দাগের উপর লাগিয়ে দিন।
2. ২০ মিনিট পরে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
8. পেঁপের মাস্ক
পেঁপের মাস্ক ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। এটি ত্বকের মৃত কোষ দূর করে এবং ব্রণ ও কালো দাগ হ্রাস করে।
উপাদান
1.কয়েকটি পাকা পেঁপে টুকরা
পদ্ধতি
1 পেঁপের টুকরাগুলো ব্লেন্ড করে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
2. পেস্টটি মুখের ব্রণ এবং কালো দাগের উপর লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন।
3. ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
9. বেসনের প্যাক
বেসন ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ করে এবং কালো দাগ হ্রাস করে।
উপাদান
2. ১ চা চামচ লেবুর রস
3. ১ চা চামচ দুধ
পদ্ধতি
1. বেসন, লেবুর রস, এবং দুধ মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন।
2.পেস্টটি মুখের ব্রণ এবং কালো দাগের উপর লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রেখে দিন।
3 ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
10. ডিমের সাদা অংশ
ডিমের সাদা অংশ ত্বকের পোর টাইট করে এবং কালো দাগ কমাতে সাহায্য করে।
পদ্ধতি
1.একটি ডিমের সাদা অংশ আলাদা করে ব্রণের উপর এবং কালো দাগের উপর লাগিয়ে দিন।
2. শুকিয়ে যাওয়ার পর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
উপায় | উপাদান | ব্যবহার পদ্ধতি | সতর্কতা |
---|---|---|---|
মধু ও দারুচিনি প্যাক | মধু এবং দারুচিনি গুঁড়া | অ্যালোভেরা পাতা কেটে তার থেকে জেল বের করে সরাসরি ব্রণে এবং দাগের উপর লাগান, শুকানোর পর ধুয়ে ফেলুন। | দারুচিনির জন্য ত্বকে জ্বালাপোড়া হলে ব্যবহার বন্ধ করুন। |
অ্যালোভেরা জেল | তাজা অ্যালোভেরা পাতা | অ্যালোভেরা পাতা কেটে তার থেকে জেল বের করে সরাসরি ব্রণে এবং দাগের উপর লাগান, শুকানোর পর ধুয়ে ফেলুন। | তাজা অ্যালোভেরা না পেলে বাজারে পাওয়া জেল ব্যবহার করুন। |
লেবুর রস | তাজা লেবুর রস | লেবুর রস তুলায় ভিজিয়ে মুখের ব্রণের দাগে লাগান, ১০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। | সরাসরি সূর্যের আলো এড়িয়ে চলুন, লেবুর রস সংবেদনশীল ত্বকের জন্য বিরূপ হতে পারে। |
বেসন এবং হলুদ প্যাক | বেসন, হলুদ গুঁড়া এবং দুধ | ২ চামচ বেসন, ১/২ চামচ হলুদ গুঁড়া এবং পর্যাপ্ত দুধ মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে মুখে লাগান, ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। | ত্বক শুষ্ক মনে হলে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। |
টি ট্রি অয়েল | টি ট্রি অয়েল এবং পানি | ২-৩ ফোঁটা টি ট্রি অয়েল ১ চামচ পানির সাথে মিশিয়ে তুলায় ভিজিয়ে ব্রণের উপর লাগান। | সংবেদনশীল ত্বকে আগে প্যাচ টেস্ট করুন। |
৭ দিনে ব্রণ দূর করার উপায়
ব্রণ দূর করা একটি সময়সাপেক্ষ প্রক্রিয়া হতে পারে, তবে সঠিক যত্ন ও পদ্ধতি ব্যবহার করলে ৭ দিনের মধ্যে ব্রণ কমানো সম্ভব। নিচে কিছু কার্যকরী উপায় উল্লেখ করা হলো যা আপনাকে ব্রণ মুক্ত ত্বক পেতে সহায়তা করবে।
1. প্রতিদিন মুখ পরিষ্কার করুন দিনে দুবার মুখ পরিষ্কার করার অভ্যাস করুন। মাইল্ড ক্লিনজার ব্যবহার করে ত্বকের ময়লা ও অতিরিক্ত তেল দূর করুন।
2. টি ট্রি অয়েল ব্যবহার করুন টি ট্রি অয়েল অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন। কটন বল দিয়ে টি ট্রি অয়েল লাগিয়ে ব্রণের উপর ব্যবহার করুন।
3. মধু ও দারুচিনি মিশ্রণ মধু ও দারুচিনি মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং ব্রণের উপর লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি ব্রণ দ্রুত শুকাতে সহায়ক।
4. অ্যালোভেরা জেল অ্যালোভেরা ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। তাজা অ্যালোভেরা জেল ব্রণের উপর লাগিয়ে রাতে রেখে সকালে ধুয়ে ফেলুন।
5. পর্যাপ্ত পানি পান প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন। এটি ত্বক হাইড্রেটেড রাখে এবং টক্সিন দূর করতে সহায়ক।
6. সঠিক খাবার গ্রহণ তাজা ফল, শাকসবজি এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খান। তেলযুক্ত ও মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন।
7. পর্যাপ্ত ঘুম প্রতিদিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমান। মানসিক চাপ কমানো এবং ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
এই উপায়গুলো অনুসরণ করে, আপনি ৭ দিনের মধ্যে ব্রণ থেকে মুক্তি পেতে পারেন। নিয়মিত যত্ন এবং স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন ত্বকের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণ দূর করার উপায়
তৈলাক্ত ত্বক প্রায়শই ব্রণের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ব্রণ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব কিছু সহজ উপায় অনুসরণ করে:
1.নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার প্রতিদিন দুইবার ত্বক পরিষ্কার করা উচিত। সকালে এবং রাতে মৃদু ক্লেনজার ব্যবহার করে মুখ ধুয়ে নেওয়া ভালো। ত্বকের প্রাকৃতিক তৈলাক্ততা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এমন ক্লেনজার ব্যবহার করুন।
2.ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার না করার ভুল করবেন না। ত্বক হাইড্রেটেড রাখতে জেল বা জল ভিত্তিক ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
3.এক্সফোলিয়েশন সপ্তাহে একবার বা দুইবার ত্বক এক্সফোলিয়েট করুন। ডেড সেল এবং অতিরিক্ত তেল দূর করার জন্য স্ক্রাব ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে, খুব বেশি ঘষাঘষি না করা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি ত্বককে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
4.সানস্ক্রিন ব্যবহার তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বিশেষভাবে তৈরি সানস্ক্রিন ব্যবহার করা উচিত। সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মি ত্বকের ব্রণকে আরও খারাপ করতে পারে।
5.সুষম খাদ্য গ্রহণ চিনি এবং ফাস্ট ফুড এড়িয়ে চলুন। শাকসবজি, ফল, প্রোটিন, এবং স্বাস্থ্যকর ফ্যাট সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করুন। পর্যাপ্ত পানি পান করুন, যা ত্বককে ডিটক্স করতে সাহায্য করে।
6.স্ট্রেস কমানো স্ট্রেস ব্রণ বাড়াতে পারে। নিয়মিত ব্যায়াম, যোগব্যায়াম, এবং মেডিটেশন করতে পারেন স্ট্রেস কমাতে।
7.প্রোডাক্ট নির্বাচন ত্বকের ধরন অনুযায়ী প্রোডাক্ট নির্বাচন করুন। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য বিশেষভাবে তৈরি প্রসাধনী ব্যবহার করুন।
এই পদ্ধতিগুলি অনুসরণ করলে তৈলাক্ত ত্বকের ব্রণের সমস্যা অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব। তবে, যদি সমস্যা তীব্র হয়, তাহলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
বরফ একটি সহজ এবং কার্যকর উপায় ব্রণ দূর করতে সাহায্য করে। ত্বকের প্রদাহ কমাতে এবং ব্রণের ব্যথা ও লালচে ভাব দূর করতে বরফ খুবই উপকারী। এখানে বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার কিছু উপায় আলোচনা করা হলো:
1.বরফ প্রস্তুতি প্রথমে কিছু বরফের টুকরা একটি পরিষ্কার কাপড়ে বা তোয়ালেতে পেঁচিয়ে নিন। সরাসরি বরফ ত্বকে প্রয়োগ না করাই ভালো, কারণ এটি ত্বকে ক্ষতি করতে পারে।
2.প্রয়োগ পদ্ধতি বরফ মোড়ানো কাপড়টি ব্রণের ওপর হালকা চাপে প্রয়োগ করুন। একবারে ১-২ মিনিটের বেশি না রাখার চেষ্টা করুন। দিনে ২-৩ বার এই পদ্ধতি অনুসরণ করতে পারেন। এটি ত্বকের প্রদাহ কমাতে এবং ব্রণের আকার ছোট করতে সাহায্য করবে।
3.ব্রণের ব্যথা কমানো বরফ প্রয়োগ করলে ব্রণের কারণে হওয়া ব্যথা এবং অস্বস্তি কমে যায়। এটি ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়, যা ত্বকের পুনর্জীবন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে।
4.লালচে ভাব কমানো বরফ প্রয়োগ করলে ত্বকের লালচে ভাব এবং ফোলা কমে যায়। ব্রণ যখন সেরে ওঠে, তখন ত্বকে যে লালচে দাগ থাকে, তা বরফ দিয়ে নিয়মিত ম্যাসাজ করলে দ্রুত মিলিয়ে যায়।
5.সতর্কতা ত্বকে বরফ প্রয়োগ করার সময় অবশ্যই পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করতে হবে। অপরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করলে ত্বকের সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। এছাড়া, ত্বক অতিরিক্ত সংবেদনশীল হলে দীর্ঘ সময় বরফ প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকুন।
বরফ দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায় সহজ হলেও, যদি সমস্যা তীব্র হয় বা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। বরফ প্রয়োগের পাশাপাশি ত্বকের সঠিক যত্ন নিতে হবে এবং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে।
বেসন দিয়ে ব্রণ দূর করার উপায়
বেসন বা ছোলার আটা প্রাচীনকাল থেকেই ত্বকের যত্নে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ব্রণ দূর করার ক্ষেত্রেও বেসন খুবই কার্যকর। বেসনের অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং এক্সফোলিয়েটিং গুণাগুণ ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে ব্রণের সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। এখানে বেসন দিয়ে ব্রণ দূর করার কিছু উপায় আলোচনা করা হলো:
1.বেসন ও হলুদের মিশ্রণ এক চামচ বেসনের সঙ্গে এক চিমটি হলুদ মিশিয়ে সামান্য পানি বা গোলাপজল দিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। হলুদে থাকা অ্যান্টিসেপটিক গুণ ব্রণ কমাতে সাহায্য করবে।
2.বেসন ও টক দই দুই চামচ বেসনের সঙ্গে এক চামচ টক দই মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। টক দইয়ের ল্যাকটিক অ্যাসিড ত্বককে কোমল এবং উজ্জ্বল করে, যা ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।
3.বেসন ও মধু এক চামচ বেসনের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মধু ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রেখে ত্বককে কোমল করে। এই মিশ্রণটি ব্রণের ওপর প্রয়োগ করলে ব্রণ দ্রুত সেরে ওঠে।
4.বেসন ও লেবুর রস এক চামচ বেসনের সঙ্গে এক চামচ লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। লেবুর রসে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল করে। এই পেস্টটি মুখে লাগিয়ে ১০-১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন।
5.সতর্কতা বেসনের কোনো প্যাক লাগানোর আগে মুখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। প্যাক লাগানোর পর মুখে হাত না দেওয়ার চেষ্টা করুন এবং অতিরিক্ত ঘষাঘষি করবেন না।
বেসন দিয়ে নিয়মিত ত্বকের যত্ন নিলে ব্রণ কমে যায় এবং ত্বক হয় উজ্জ্বল ও মসৃণ। তবে, যদি ব্রণ বেশি হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
রবিন ডাইরি নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url